কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোনো সরকারপ্রধান, যিনি পদত্যাগে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেনি।
সদ্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সোমবার ( ৫ আগস্ট) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেশ ছাড়েন। যাওয়ার সময় সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন।
প্রবল গণআন্দোলনে এখন পর্যন্ত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তবে এরশাদ দেশ ছাড়েননি। তিনি দেশেই ছিলেন। ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। তবে ওই সরকার নির্বাচন করতে না পারলে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলা হলেও তিনি যেতে রাজি হননি।
পদত্যাগ করার কয়েকদিন আগেই কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে তার পালানোর গুজব প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা পালায় না।’ অথচ তিনিই শেষপর্যন্ত দেশ ছাড়লেন।
শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। গাজিয়াবাদের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অবতরণের পর সন্ধ্যায় ভারতের মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল গিয়ে সাক্ষাৎ করেন হাসিনার সঙ্গে।
তবে তিনি ভারতের ঠিক কোন জায়গায় অবস্থান করছেন অথবা তিনি সেখানে থাকবেন না তৃতীয় কোনো দেশে যাবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।