শেখ হাসিনার পতনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্ঠা করছে একটি মহল। এবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের একটি ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের পাশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঠেকাতে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। এদিন সকাল থেকে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ৩২ নম্বর সড়কের দিকে আসতে চাইলে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় কালো রঙের একটি গাড়িতে করে একজন ৩২ নম্বর এলে তার পরিচয় জানতে চান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তিনি পরিচয় গোপন করলেও পরে ভিজিটিং কার্ড দেখে তার পরিচয় জানা যায় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা।
এ সময় তাকে হেনস্থা করে ভিডিও করে কয়েকজন। সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আলোচনা-সমালোচনা করেন।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে আসিফ তালুকদার নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লেখেন, আমার বাবা মারা গিয়েছে। তোমরা যারা এমন করলে তোমাদের বাবা আছে এবং আমি তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তুমি কি মানতে পারতে তোমার বাবার সঙ্গে এমন কেউ করলে?
একই পোস্ট তিনি এডিট করেন রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে। এবার তার প্রতারণা সামনে আসে সকলের সামনে। সেই পোস্ট তিনি এডিট করে লেখেন, আমার বাবা মারা গিয়েছে ২০২২ সালে। তোমরা যারা এমন করলে তোমাদের বাবা জীবিত বলে আমি বিশ্বাস করি এবং আমি তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তুমি কি মানতে পারতে তোমার বাবার সঙ্গে এমন কেউ করলে?
তার সে পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেন। যেখানে একজন লেখেন, আয়নাঘরের লোকগুলো কারো না কারো বাবা ছিলেন! সেটিও তো প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
জানা গেছে, হেনস্থার স্বীকার ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল কুদ্দুস মাখন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার নারায়নখোলা এলাকায়। তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর জেলা সমিতির সহ-সভাপতি।
এদিকে মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দিয়ে আবদুল কুদ্দুস মাখন মুঠোফোনে বলেন, আমি প্রতিবছর শোক দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২-এ যাই। গতকাল সকালে গেলে আমার ওপর তারা হামলা করে এবং মারধর করে। তবে আমি জীবিত আছি, ভালো আছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।