বাড়ি থেকে ৩০০ ফুট দূরত্বে সেতুর রেলিংয়ে বেঁধে রিহান উদ্দিন মাহিনকে পেটাচ্ছেন তৈয়ব, আজাদ, শাওন, ইলিয়াস ও ইয়াছিন। বাঁচাতে ছুটে যান বাবা-মা ও চাচা। কারও মিনতিতে মন গলেনি অভিযুক্তদের। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ‘পানি পানি’ বলে কাতরাচ্ছিল মাহিন। সেতুর ওপরই ঢলে পড়ে সে।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগরে গত শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার সরেজমিন জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে কাঞ্চননগরে মুছার ঘরে চুরি হয়। এতে সন্দেহ করা হয় তিন কিশোরকে। এ অভিযোগে তাদের নির্যাতন করা হয়। এর ভিডিও ভাইরাল ও গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন জড়িতরা। মাহিনের দুই বন্ধু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগরে গত শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার সরেজমিন জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে কাঞ্চননগরে মুছার ঘরে চুরি হয়। এতে সন্দেহ করা হয় তিন কিশোরকে। এ অভিযোগে তাদের নির্যাতন করা হয়। এর ভিডিও ভাইরাল ও গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন জড়িতরা। মাহিনের দুই বন্ধু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মাহিনের চাচা মো. ওসমান বলেন, ‘মাহিনকে মারধর করার খবর পেয়ে সেতুতে আসি। এসে রেলিংয়ে বাঁধা ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন তার বাবা লোকমান। মা খাদিজা গিয়ে তৈয়ব, আজাদের পায়ে ধরে ছেলের প্রাণভিক্ষা চান। আমি সর্দার নাজিম মাস্টারের বাড়ি যাই। কিন্তু নাজিম মাস্টার এদের মেরে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দিতে বলেন। আমাকেও বেঁধে মারতে বলেন। আমি ভয়ে চলে আসি। ভাই ছেলেকে ছাড়াতে চাইলে তাঁকেও মারধর করে। এরা এত হিংস্র ছিল যে কারও কথাই শুনছিল না। মারতে মারতে নিস্তেজ হয়ে যাওয়া ভাতিজা মাহিন পানি খেতে চায়। আমি পানি নিয়ে এগিয়ে গেলে তাকে পানি খেতে দেয়নি। আমরা গরিব হওয়ায় সবার সামনে চোর অপবাদ দিয়ে ভাতিজাকে খুন করে ওরা।’
বাবা মো. লোকমান বলেন, ‘ছেলেকে মারধর করছে শুনে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি। তখনও তারা আমাকেসহ মারধর করতে থাকে। তাদের হাতে-পায়ে ধরেও নির্যাতন ঠেকাতে পারিনি। আমার সামনে ছেলেকে চোর অপবাদ দিয়ে খুন করেছে।’
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে মা খাদিজা বেগম পাঁচ আসামির নাম উল্লেখ খুনের মামলা করেন। আসামিরা হলেন– নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ তৈয়ব, মহিউদ্দিন, মুহাম্মদ নোমান ও মুহাম্মদ আজাদ। এদের মধ্যে দুই আসামি মুহাম্মদ নোমান ও মুহাম্মদ আজাদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। মামলায় পাঁচজনের নাম ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার নোমান ও আজাদ কাঞ্চননগর গ্রামের বাসিন্দা।
থানার ওসি নুর আহমদ বলেন, অন্য তিন আসামিসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
খবর: সমকাল