রাজধানীর সদরঘাটে বাঁধা একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের সন্তান রয়েছে। ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটে মর্মান্তিক এই ঘটনা। তারা গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। ঘটনার পর দুটি লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন, মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা।
নিহত অপর দুজন হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।
সদরঘাটে এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ দড়ি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এসময় এমভি ফারহান-৬ লঞ্চটি পার্কিং করার জন্য ওই দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ঢুকলে ধাক্কা লেগে এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চটির বেঁধে রাখার দড়ি ছিঁড়ে যায়। এতে পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এদিকে এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ দুটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দুই লঞ্চের চালক ও ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। তারা হলেন- ফারহান লঞ্চের দুই চালক ও ম্যানেজার এবং এমভি তাসরিফের দুই চালক।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। বেলা তিনটার কিছুক্ষণ আগে এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ পন্টুনে ঢোকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে লঞ্চে ওঠার জন্য অপেক্ষমান পাঁচজনকে আঘাত করে। এতে তারা পন্টুনে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।
তাদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ জানিয়েছেন।