
দেখতে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে মাত্র তিন বছর হলো। ১৩ ই আগষ্ট ২০২২ এ আমি এই অঙ্গনের একজন হয়। যাই হোক সাংবাদিকতা প্রফেশন থেকে এই প্রফেশনে এসে প্রথম দুবছর সব ঠিক ঠাক। আমার কোন ব্যাক্তিগত শত্রু নাই। কারন আমার মনে পড়েনা আমি এই তিন বছরে কারো সাথে মিশেছি কিনা? বলতে গেলে কাজ, চেম্বার, ছাড়া এক সেকেন্ড ও অতিরিক্ত সেখানে কারো সাথে হাই হ্যালো বলতে পছন্দ করিনি।
আমি একা থাকতে এবং চলতে পছন্দ করি। নিজের ইচ্ছেমতো চলতে অপিনিয়ন দিতে আমি পছন্দ করি। সবার সাথে হৈ চৈ করে আড্ডা দেওয়া আমার সাথে যায়না। বরং সেই টাইম টা নিজেকে দিই আমার বিড়াল কে দিই। যাই হোক এই জায়গাটা নিয়ে আমার অপিনিয়ন প্রতিদিন চেইঞ্জ হয়। বিশেষ করে ৫ আগস্ট এর পর। ৫ আগস্টের আগে দেখতাম ডানে বামে সব আওয়ামীলীগ। ৫ আগস্টের পর শুনি আমরা হাঁটলে আওয়ামীগ হাটে আর না হাটলে আওয়ামীলীগ নাই। যাই হোক খুব মজার অভিজ্ঞতা।
ভদ্র আইনজীবীরা এখন খুব একটা এই অঙ্গনে আসেন না। কারন হঠাৎ কিছু ছেচড়া টোকাইদের আদালত প্রাঙ্গণ দখল করে কারো মোবাইল চুরি করতেছে, কারো চেম্বার থেকে দামি স্যুট টাই চুরি করতেছে, চুলের হেয়ার ব্যান্ড নিতেও বাদ দিচ্ছে না। আর চান্দাবাজি আর মব সন্ত্রাসীতে এক একটা পিএইচডি করছে।
Meanwhile, শেষ এক বছরে আরও যা দেখলাম এবং শিখলাম তা একটু তুলে ধরলাম
নিম্নরুপ-
> কিভাবে এজলাসে চুরি ছিনতায় করতে হয়!
> কিভাবে আইনজীবীদের মামলা পরিচালনা করতে বাধা দেওয়া হয়!
> কিভাবে আইনজীবীদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল দখল করতে হয়!
> কিভাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মতো প্রেসটিজিয়ারস বার দখল করতে হয়!
<কিভাবে দেশের সর্বোচ্চ আইনজীবী সমিতি ঢাকা বার দখল করতে হয়! এবং
<কিভাবে আমার মাদার বার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি দখল হয়
আর, অন্যান্য জেলা আইনজীবী সমিতির কথা নাই বা বললাম।
তবে সবকিছুর একটা শেষ আছে। আমি বিশ্বাস করি শেষটা অবশ্যই ভালো কিছু হবে। সামনের দিনগুলো আইনজীবীদের জন্য আইন প্রাঙ্গন নিরাপদ হবে।