জলি আহমেদ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মানে ইফতার মাহফিল করেছে জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি।
৩০ মার্চ কুইন্সের আগ্রা প্যালেস রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি হলে এই ইফতার মাহফিল ও দোয়া হয়। কমিউনিটির সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় ও সেতুবন্ধন তৈরি করতে গত ২১ বছর ধরে ইফতার পার্টি আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি।
জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটিআর এই ইফতার পার্টিতে মূলধারার রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এবং উল্লেখযোগ্য প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে। এরপর পবিত্র রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনাকরেন ইমাম শমসে আলী। ইফতারির আগে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও প্রবাসী বাঙালিদের শান্তি–সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাতকরা হয়।

জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় বাংলাদেশিদের অন্যতম প্রধান সামাজিক সংগঠন।
উপস্থিত প্রবাসী বাঙালিরা বলেন, প্রতিবছরই রমজানে জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি এমন একটি সুন্দর আয়োজনকরে থাকে। এর মাধ্যমে কমিউনিটির সবার মাঝে একটি সেতুবন্ধন তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানে শুধু বাংলদেশীরাই ছিলেন এমনটি নয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লু, এসেম্বলি ওমেনজেনেফার রাজকুমারসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইসলাম দেলওয়ার, প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক জে মোল্লা সানি।
আরও উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকাশ রহমান, নুরুল আজিম, আহসান হাবিব, শেখইলিয়াস হাবিব, শাহ জে চৌধুরীসহ কমিটির অ্যাকটিভিস্ট মো. আলী, কামরুজ্জামান বাবু, আলমগির হোসেন আলম, আহসান হাবিবসহ অনেকে।
ইফতারির আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় কমিউনিটি ও সংগঠনটির নেতারা বলেন, আয়োজনটি অসাধারণ হয়েছে। আশাকরি এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রবাসী বাঙালিদের মাঝে সম্প্রীতি ও বন্ধন আরও অটুট হবে।
জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির বর্তমান কমিটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলওয়ার বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সবার মাঝে সম্প্রীতি ও বন্ধন অটুট করা। সবাইকে নিয়ে এই রমজানে ইফতারি করা। এমনটি করতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত।
ইফতার পার্টিতে কনভেনর হিসেবে ছিলেন হাজী সামসুল ইসলাম, মেম্বার সেক্রেটারি বাবুল হাওলাদার বাবু। কো–কনভেনর হিসেবে ছিলেন কামরুল ইসলাম সনি, আখতার বাবুল, হিমু মিয়া। কোর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন আনোয়ার খান, সুমন খান, ফয়সাল আলম। জয়েন্ট মেম্বার সেক্রটারি হিসেবে ছিলেন এনায়েত মুন্সী, নওশিদ হায়দার, মো. ইকবাল আহমেদ।
সহযোগিতায় ছিলেন বিল্লাল চৌধুরি, সাইফুল ইসলাম, এএফ মেসবাহুজ জ্জামান, রাসেক মালিক, সেবুল মিয়া, রেজা মোহাম্মদ, কাজী আবু নাসের, লিটন আহমেদ, রেজাউল আলম অপু, কাশেম মোহাম্মদ, তরিকুল ইসলাম তুহিন, বদরুল ইসলাম রমেজ, এসএম সোলায়মান, ইফফাত ইয়াসমিন রিমি, নিপা জামান, নূর উদ্দিন, আপন এইচ ইমাম, শরিফ হোসেন, জসিম ফাহাদ এবংসাইদুল ইসলাম রিয়াদ প্রমুখ।