টানা তৃতীয় মেয়াদে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির সাদিক খান।
ফলাফলে দেখা যায়, ১০ লাখ ৮৮ হাজার ২২৫ ভোট পেয়েছেন সাদিক খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুসান হল পেয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮। অর্থাৎ সুসান হলকে ২ লাখ ৭৬ হাজারের ভোটে পরাজিত করেছেন সাদিক।
বিবিসি বলছে, নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপদ ও সবুজ রাজধানী গড়ার প্রতিশ্রুতি সাদিক খানকে এবারের নির্বাচনে জিততে সাহায্য করেছে।
টানা তিনবার মেয়র হওয়া সাদিক খানের অতীত ইতিহাস কি?
জানা গেছে, সাদিক খানের জন্ম লন্ডনেই, ১৯৭০ সালের ৮ অক্টোবর। এর দুই বছর আগে ১৯৬৮ সালে তার মা-বাবা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যের অভিবাসী হিসেবে পাড়ি জমান। বাবা আমানউল্লাহ ছিলেন বাসচালক। মা শেহরুন করতেন দরজির কাজ। সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাদিক পঞ্চম।
সাদিক খানের পড়ালেখা ইউনিভার্সিটি অব নর্থ লন্ডন থেকে। আইনে পড়াশোনা শেষে মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৯৪ সালে লেবার পার্টির হয়ে লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ বারার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন সাদিক খান। তখন তার বয়স মাত্র ২৪ বছর। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং আসন থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে গর্ডন ব্রাউন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন স্থানীয় সরকারের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি এবং পরবর্তীতে যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন সাদিক খান।
২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র পদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন সাদিক খান। সে বছরের ৯ মে কনজারভেটিভ পার্টির জেক গোল্ডস্মিথকে হারিয়ে প্রথমবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০২১ সালে কনজারভেটিভ পার্টির সোন বেইলিকে পরাজিত করে মেয়র পদ ধরে রাখেন সাদিক।
বিজয়ী ভাষণে সাদিক খান বলেন, আমি লন্ডনকে ভালোবাসি। এটি আমার শহর ও এখানকার জনগণকে সেবা করতে পারা আমার জন্য গর্বের। এবারের নির্বাচনেও আমাকে জেতানোর জন্য সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।