অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশার সহকারী আলামিন গুলিতে নিহত হয়েছেন। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিশা নিজেই এ কথা জানান। সহকারী আলামিনের সঙ্গে কয়েকটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন তিশা।
তিনি লিখেছেন, ‘একটা না দুই-দুইটা গুলি কী করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা? আলামিন কোনো দল অথবা কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিল না। ওর বিগত চার বছর জীবনটা আমার সঙ্গে, আমার কাজের ও আমার পরিবারের সঙ্গেই কেটেছে। ওর জীবনে কোনো পাপ নাই। খুব ছোট একটা মানুষ, এই চার বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন, সবাই আল্লাহর কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।’
ফেসবুক পোস্টে সহকারী আলামিনকে নিয়ে তানজিন তিশা স্মৃতিকাতর হয়ে লিখেছেন, ‘আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চিনেন। কিন্তু ও আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট নয়, ও আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সঙ্গেই থাকে। আমার পরিবারে থাকে, পরিবারের অংশ হয়ে। আপুর কী লাগবে, আপু কী খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো—সবকিছু এই ছেলেটাই জানত আর দেখত!’
আলামিন যেমন তানজিন তিশাকে নিয়ে ভাবত, তেমনি তিশার তাকে নিয়ে পরিকল্পনা ছিল। ফেসবুক পোস্টে সে কথাই তুলে ধরেছেন তিনি।
আলামিন কোথায়, কখন কীভাবে গুলিতে নিহত হয়েছেন, সে ব্যাপারে ফেসবুক পোস্টে কিছুই উল্লেখ করেননি তানজিন তিশা।
এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ এবং কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভরতদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, বুলেট নিক্ষেপে গত ১৬ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ নিহতের সংখ্যা গণনা করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।