জলি আহমেদ
দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বরাবরের মতো সোচ্চার ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আর এজন্য বাংলাদেশ এমনকি বিদেশের মাটিতে প্রবাসীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলদেশের জাতীয় সংসদের এই সদস্যকে গণসংবর্ধনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা। এ উপলক্ষে ২০ মার্চ বিকেলে নিউ ইয়র্কের কুইন্স প্যালেসে সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি।
এসময় ব্যারিস্টার সুমন জানান, মার্কিন রাজনীতিবিদদের মতো স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি করতে চান।
তিনি বলেন, মানুষ যেখানে সম্মান দেয় না সেখানে সম্মান দেয় স্বয়ং বিধাতা। এটার প্রমাণ দিয়েছে আমার এলাকার মানুষ। একজন রানিং মিনিস্টারের বিরুদ্ধে আমাকে এক লাখ ভোটে পাস করিয়েছেন এলাকার ভোটাররা।
![]()
ব্যারিস্টার সুমন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সারাজীবন ছাত্রলীগ, যুবলীগ আর আওয়ামী লীগ করেছি, তবুও আমি এখনো স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র হিসেবেই আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমার দলের লোকেরাই এখন বলেন ‘আরে ও তো স্বতন্ত্র’।
তিনি আরো বলেন, অনেকে মনে করেন, আমি দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় নমিনেশন পাইনি।
তিনি মার্কিন রাজনীতিবিদদের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে কোনো তহবিল তছরুপের ঘটনা থাকলে তারা পদত্যাগ করেন। তারপরও তাদের ব্যক্তিগত লাইফ বলে কিছু থাকে। কিন্তু আমি এমন দেশে জন্মাইছি, যেখানে আমার পরিবার তো গেছেই, মানুষের জন্য কাজ করতে করতে আমার সম্পদ দূরের কথা, জীবনও গেছে। আমি আমেরিকানদের দেখাই দিতে চাই যে, আমাদের দেশেও এমন একজন আছে, যিনি চাইলে আন্তর্জাতিক মানের রাজনীতিবিদ হতে পারেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির দুইবারের সাবেক সভাপতি ও তিনবার ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়্যারম্যান এম এ আজিজ, বাংলাদেশ সোসাইটির দুইবারে সাধারণ সম্পাদক এবং উত্তর আমেরিকার প্রথম স্যাটেলাইট টিভি এটিএন বাংলার ডিরেক্টর ফকরুল আলম, বিশিষ্ট রিয়াল স্টেট ব্যবসায়ি নূরুল আজিম।
এছাড়া আরো বক্তব্য দেন আহবায়ক মোহাম্মদ এন মজুমদার, সদস্য সচিব মঈনুল ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি ব্রুস ফিসার, মিজানুর রহমান শেফাজ, হেলাল চৌধুরী, নুরুল আজিম, দাউদ, ফখরুল, খলিল, হাসান আলী, গিয়াসউদ্দিন, আবুল খায়ের মজনু, শাহ মিজান, সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, মোদববির হোসেন প্রমুখ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে জয় লাভ করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।