জলি আহমেদ..
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা নরসিংদীর রায়পুরা। এটি একটি নৈসর্গিক ভূ-খণ্ড। মেঘনা আর তার শাখা-প্রশাখার জলবিধৌত অন্যতম স্থলভাগ। খুবই আন্তরিক এই উপজেলার মানুষ।
শুধু দেশেই নয়, দেশ থেকে অনেক দূরে বিদেশের মাটিতেও এ উপজেলার মানুষ নিজেদের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।
এই যেমন নিউইয়র্কে, এখানকার রায়পুরা প্রবাসীরা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়েছে পরস্পর।
এরাই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের মতো এবারও বনভোজনের আয়োজন করেছে ‘আমরা রায়পুরাবাসী’।
বাংলাদেশ এসেম্বল অফ ইউএসএর সহযোগিতায় ও উদ্বোধনে আনন্দঘন পরিবেশে এই বনভোজন হয়। ১০ আগস্ট রোববার নিউইয়র্কের হোমস্টেট লেক স্টেট পার্কের মনোরম পরিবেশে উচ্ছ্বাস ও আনন্দে মেতে ওঠেন প্রবাসী বাঙালিরা। বনভোজন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। বাঙালি কমিউনিটির অনেক পরিচিত মুখও দেখা যায় এই পিকনিকে।
বনভোজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও র্যাফেল ড্রসহ নানা আয়োজন ছিল। আর ছিল মুখরোচক নানা খাবার, ছিল বারবিকিউ পার্টি।
বনভোজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ এসেম্বলি অফ ইউএসএর সভাপতি শামীম হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম (কলিম)।
বনভোজনের আহবায়ক ছিলেন ইকবাল এ ভূঁইয়া, প্রধান সমন্বয়কারী মো. গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব আতিকুর রহমান রফিক।
বাংলাদেশ এসেম্বলি অফ ইউএসএর সভাপতি শামীম হাসান বলেন, প্রবাসে আমরা আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ বজায় রাখতে চাই, একটি সংগঠন আরেকটি সংগঠনের পাশে থেকে সৌহার্দ্য বিনিময়ে করাই তার প্রমাণ। এ সময় তিনি এমন সুন্দর আয়োজন করায় ‘আমরা রায়পুরাবাসী’র আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ এসেম্বলি অফ ইউএসএর সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম (কলিম) বলেন, এ ধরনের প্রাণবন্ত আয়োজন নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। এ ধরনের আয়োজন মানুষকে একত্রিত করে। সবার মাঝে একটি বন্ধন তৈরি করে। প্রবাসে থেকেও আমাদের কালচার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।