জলি আহমেদ…..
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে আমেরিকার নিউইয়র্কের দিকে তাকালে মনে হবে এটি যেন বাংলাদেশরই একটি অংশ। কারণ এখানে প্রচুর বাংলাদেশিদের বসবাস। তাই এখানে বাংলাদেশি খাবারের চাহিদাও বেশ। সেটা যে খাবারই হোক না কেন। কথায় আছে, নিজের দেশের খাবারের স্বাদ বাঙালিদের কাছে অমৃত সমান।
আর সে কথা মাথায় রেখেই নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটের বাংলাদেশ প্লাজার নিচ তলায় উদ্বোধন হলো বাংলাদেশি মালিকানাধীন “ফ্রেশ বেকারি”। শুক্রবার ৫ জুলাই বাদ জুমা মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের পর ফিতা কেটে এটি উদ্বোধন করা হয়।
এখানের বেকারি পণ্যগুলো বাংলদেশের ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পর্ণ সেফ মিস্টার জনের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়। সিঙারা, পুরী থেকে নিয়ে পাউরুটি, কেক, চিকেন, প্যাটিস, বিস্কুট, ক্রয়সেন্ট, মিষ্টিসহ সব ধরনের বেকারি পণ্য পাওয়া যায়। যাতে বাংলাদেশি স্বাদকে বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। ফলে নিউইয়র্কের মাটিতে বসে বাঙালি বেকারি স্বাদ নিতে পারবেন যে কেউ।
বেকারির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের সিইও ও প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ আজিজ, বাংলাদেশ প্লাজার সত্তাধিকারী মিনা ফারাহ ও তার কন্যা মৌসুমী, সিটি মেয়রের প্রতিনিধি মিসেস প্যাট্রেসিয়া, ফ্রেশ বেকারির সত্তাধিকারী সোহাগ আজম ও নাহিদ খান।
বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ আজিজ বলেন, এখন থেকে আমেরিকার মাটিতে বাংলাদেশী বেকারি পণ্য পাওয়া যাবে। এটা আসলে আমাদের প্রবাসীদের জন্য একটা সুখবর। আমি মনে করি এই বেকারি আমরা যারা আছি সবার। এটা সবার একটা প্রতিষ্ঠান। আশা করি আমরা এখান থেকে ভালো ও উন্নত মানের খাবারের স্বাদ নিতে পারব।
বেকারির প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ আজম বলেন, আমাদের সব প্রোডাক্ট একদম ফ্রেশ। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশি টেস্ট ধরে রাখা। যাতে আমরা যারা বাঙালি আছি তারা যেন দেশের খাবারের স্বাদ বিদেশে বসে পেতে পারি।
খাবারের দাম ও মানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই, ভালো খাবার বেস্ট প্রাইজে দেয়ার। যাতে কাস্টমাররা তাদের সাধ্যের মধ্যে ভালো খাবার পেতে পারেন।
