জলি আহমেদ…
চট্টগ্রামবাসীর নিউ ইয়র্কের অন্যতম সংগঠন চিটাগং অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্থ আমেরিকার বনভোজন হয়েছে। রোববার (১৭ আগস্ট) কুইন্সের ফ্লাসিং মেডস করোনা পার্কের ছায়াঘেরা এক মনোরম পরিবেশে এই বনভোজন হয়।
এতে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সঙ্গে অংশ নেন প্রবাসী বাঙালিরা। বিশেষ করে নিউ ইয়র্কে থাকা চট্টগ্রাম প্রবাসীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। এই বনভোজন যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। বনভোজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও র্যাফেল ড্র ছিল। দুই হাজার মানুষের আয়োজন ছিল বনভোজনে।
চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি মাকসুদুল হক চৌধুরী বলেন, এই বনভোজন চট্টগ্রামবাসীর একটি মিলনমেলা। আমরা চেষ্টা করেছি কত সুন্দরভাবে এর আয়োজন করা যায়। যারা এসেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই সংগঠনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমরা চাই সবাই ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে এগিয়ে যাব। আমাদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা থাকবে না। এটা সত্যি যে চট্টগ্রামের মানুষ সব সময় শান্তি চায়। তারা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে চায়। আমি চট্টগ্রামবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ, এত সুন্দর একটি আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য। ভবিষ্যতে আরো সুন্দর করে, আর বড় পরিসরে এমন আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এম বিল্লা উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা সুন্দর পরিবেশে বনভোজনের আয়োজনের চেষ্টা করেছি। আমাদের যদি কোন ভুলত্রুটি থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যারা এই পিকনিকে অংশ নিয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি মইন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমেরিকা আসার পর থেকেই চিটাগাংবাসির সাথে আমার একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাদের আজকের যে আয়োজন সুন্দর ছিল। আমি বলব ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে। আজকের এই আয়োজন প্রমাণ করে যে চিটাগাংবাসী ঐক্যবদ্ধ হতে চলেছে।
চিটাগাং সমিতির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মোঃ ফরহাদ বনভোজনে সবাইকে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান।
চট্টগ্রাম সমিতির মাসুদ সিরাজী (লাইফ মেম্বার )বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে আয়োজনটি করার। কমিটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আখতারুল আজম বলেন, এখানে আমরা সবাইকে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছি, এটাই বড় পাওয়া।
বনভোজন উদ্যাপন কমিটির মধ্যে ছিলেন- আহ্বায়ক মো. এম বিল্লাল, প্রধান সমন্বয়কারী শিমুল বড়ুয়া, সদস্য সচিব আকতার উল আজম, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর বাপ্পী, মো. আইয়ুব আনছারী, সুমন উদ্দিন, সমন্বয়কারী মো. ফরহাদ, নুরুস সোফা, শওকত আলী, যুগ্ম সদস্য সচিব হারুন মিয়া ও মোহাম্মদ শাহ আলম।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আশা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও ইঞ্জিনিয়ার আকাশ রহমান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম সমিতির বনভোজনে গ্র্যান্ড স্পন্সর ছিল আশা গ্রুপ। আর প্লাটিনাম স্পনসর ছিলেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। সিলভার স্পন্সর ব্যবসায়ী ইকবাল হায়দার। আরো যারা স্পন্সর করেছে তারা হলো বারী গ্রুপ, জাহিদ মিন্টু, কালুসটান্স, স্টাইলার শিপিং, শেখ ফরহাদ, নুরুল আজিম, আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন, শাবানাহ ট্রেডিং, হোম সেন্ট্রাল, ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, সমাজসেবক মোঃ হাশেম, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, এক্সিট রিয়েলিটি প্রাইম, ফারুকুল ল ফার্ম, মোঃ ফাহিম জান, রাধুনী সুইটস অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, ম্যাস মিউচুয়াল, ব্লু গ্রিন, নুরুজ্জামান সরদার, এম এইচ মেডিক্যাল সার্ভিস, খোকন কে চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস, সাধন কর, গ্রীন হাউজ, জনতা ফার্মেসি, দেশ বাংলা ফার্মেসি, এভারগ্রিন ফার্মেসি, এশিয়ান ফার্মেসি, রবিউল চৌধুরী, সূচনা সুপার মার্কেট, ম্যাক্স লাক্সারি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল এটিভি, সাদা কালো ও ইউএসএ বাংলা।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন- মাসুদ সিরাজী, তমাল কে চৌধুরী, সুশান্ত দত্ত, মো. এ ওয়াদুদ, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ জাহিদুল আজম।
নিউ জার্সি থেকে উপস্থিত ছিলেন- আব্দুর রফিক, দিদার চৌধুরী, মোহাম্মদ সরওয়ার, মো. এনাম, কাউসার চৌধুরী, মজিবুল হক, আনিস মাহমুদ, হাফেজ মোহাম্মদ ইদ্রিস, বুলবুল চৌধুরী, মুনতাসির বিল্লাহ, কাজী জোনায়েদ ও ফয়েজ আলম।
স্ট্যামফোর্ড কানেক্টিকাট থেকে এসেছেন- মোহাম্মদ জামান, নুরুল হক, জাফর সালেহ, সেলিম জামাল, মোস্তাক জামান, মোহাম্মদ জসিম, ইমরান রহিম, মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ব্রিজ ফোর্ড কানেক্টিকাট থেকে এসেছেন- এম শওকত হোসেন চৌধুরী, এম জাসেদুল আলম জাস, আরিফ এম জুবায়ের, মোক্তার আহমেদ, মো. শাহাজাহান।
ফেলাডেলফিয়া থেকে ছিলেন, মেয়র মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, এনাম চৌধুরী, মঈনউদ্দিন, জাহেদ চৌধুরী, ফেরদৌস হাসান, মো. বখতিয়ার উদ্দিন।
চিটাগাং সমিতি যাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ তারা হলেন- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ এম রেজা, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য মো. শাহজাহান সিরাজী, আজীবন সদস্য আবুল কাশেম ভূইয়া, আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ কানেক্টিকাট এর সভাপতি নুরুল আলম, চট্টগ্রাম সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আল জুবায়ের মানিক, আজীবন সদস্য ও সাবেক সভাপতি সরোয়ার চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহবুবুর রহমান বাদল, সাবেক সভাপতি মোঃ আহসান হাবিব, সাবেক উপদেষ্টা হাজী শফিউল আলম ও মোঃ জসিম উদ্দিন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুজিবুল হক, ডা. আতাউল ওসমানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান মাহমুদ, সাইয়েদুল আলম, আমজাদ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মীর কাদের রাসেল, মাসুদ সিরাজী, ইকবাল হোসেন, বাক এর সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন ও মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকন।