বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এ অবস্থায় সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত শুক্রবার থেকে এই অ্যালার্ট শুরু।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষরিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সময় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকবেন যারা খোলা আকাশের নিচে জীবিকা নির্বাহ করেন- কৃষক, দিনমজুর, রিকশাওয়ালারা। আর ঝুঁকি বয়স্কদের, বিশেষ করে যেসব ব্যক্তি অন্য কোনো রোগে ভুগছেন। শিশুদেরও এই তালিকায় রাখার কথা বলেছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এটিই চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খুলনা বিভাগের সবগুলো স্টেশনেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে, অর্থাৎ তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রচণ্ড তাপদাহে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। অসহনীয় গরমে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছে না তারা।
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও সাতদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। এতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধই থাকছে। ২৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্লাস শুরু হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দপ্তরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।