যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানের পার্ক অ্যাভিনিউয়ের করপোরেট ভবনে এক বন্দুকধারীর গুলিতে হামলাকারীসহ পাঁচজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। তার বয়স ৩৬ বছর।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শেন তামুরা নামের ২৭ বছরের এক যুবক এ হামলা চালান।
এনওয়াইপিডির কমিশনার জেসিকা টিশ গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনা ঘটানোর এক ঘণ্টা আগে শেন তামুরা লাস ভেগাস থেকে নিউইয়র্কে আসেন। তামুরা বহুতল করপোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন। প্রাথমিক তদন্তে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দিদারুল ইসলাম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন।
এনওয়াইপিডির ইন্সপেক্টর খন্দকার আবদুল্লাহ বলেন, দিদারুল ইসলাম প্রায় চার বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তার পরিবারে মা–বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছেন। তার স্ত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা। ব্রঙ্কস বরোর পার্চেস্টার এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। আর তার কর্মস্থল ছিল ব্রঙ্কসের ৪৭ প্রিসিন্ক্ট। সোমবার মধ্যরাতে তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার তার জানাজা হতে পারে।
দিদারুলের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বলে জানান তিনি।
খন্দকার আবদুল্লাহ আরও বলেন, হামলায় দিদারুল ইসলামের নিহত হওয়ার খবর শুনে তার বাবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, মিডটাউনে হামলায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন, যাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্য বাংলাদেশি অভিবাসী।
তিনি আরও বলেন, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন ও তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী। মেয়র অ্যাডামস তাকে অফিসার ইসলাম’ বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে, সন্দেহভাজন হামলাকারী নিজেই নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ।