বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর সঙ্গে এক টাকা যোগ বা বিয়োগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম আরও বেড়ে হতে পারে ১১৮ টাকা।
ডলারের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারে। রাজধানীর বিভিন্ন মানি চেঞ্জারে ডলার ১২২ থেকে ১২৩ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কোথাও তো আবার ১২৫ টাকায় ডলার বেচাকেনা হতে দেখা গেছে। খোলাবাজারে এই দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
মতিঝিলের একটি মানি চেঞ্জারের মালিক বলেন, খোলাবাজারে এক দিনেই ১২৩ টাকায় উঠে গেল ডলার। কেউ কেউ পারলে ১২৫ টাকাতেও বিক্রি করছে।
এদিকে ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রা বিনিময় দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ মানি একচেঞ্জের কর্মকর্তারা বলেন, ‘ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য মুদ্রার দামও বেড়েছে। বুধবার পর্যন্ত ভারতীয় মুদ্রা এক টাকা ৪০ পয়সা ছিল, যা এখন এক টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
এদিকে খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দামও বেড়েছে। ১১৫ টাকায় এলসি খুলেছিল যেসব ব্যাংক, তারা এখন ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে।
আমদানিকারকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরেই দেশে ডলার সংকট চলমান। যেসব নিত্যপণ্য আমদানি করতে হয়, সেগুলোর ঋণপত্র খুলতে অনেক ব্যবসায়ী নির্ধারিত দামে ডলার কিনতে পারেননি। দিতে হয়েছে বাড়তি দাম। যার প্রভাব রয়েছে বর্তমান নিত্যপণ্যের বাজারে।
ফলে নতুন করে বাংলাদেশে আবারও আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়বে।