সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া যাবেন গ্রামে। একদম কাছ থেকে বাঙালিদের বেঁচে থাকার সংগ্রামের কথা শুনবেন। সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল সুশোভিত শামিয়ানা। সেখানেই বসার কথা ছিল তার। কিন্তু সবাইকে অবাক করে গ্রামের নারীদের মাটির ঘরে গিয়ে বসলেন তিনি।
এসময় গ্রামের নারীদের সঙ্গে ছবিও তোলেন রাজকন্যা। পুকুরে নারীদের মাছ ধরা দেখে বিস্মিত হন। পোস্ট অফিস উদ্বোধন করতে গিয়ে পটগান শুনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। শুনলেন উপকূলের মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা। আর রাজকন্যার এমন সাদামাটা জীবন দেখে আপ্লুত হয়েছেন গ্রামীণ নারীরা।
মঙ্গলবার এভাবেই খুলনায় সময় কাটে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের রাজকন্যার।
এর আগে সকাল পৌনে ৮টার দিকে কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভিকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে রাজকন্যাকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান তাকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় দূর থেকে রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে এক পলক দেখার জন্য গ্রামের মানুষ ভিড় করে।।
হেলিকপ্টার থেকে নামার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিয়নের নয়ানি যজ্ঞ মন্দিরের মাঠে। সেখানে ইউএনডিপির অর্থায়নে স্থাপিত রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টারের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তিনি।
এসময় গ্রামের মানুষ রাজকন্যাকে জানান, আগে গ্রামীণ উৎস থেকে পানযোগ্য পানি সংগ্রহের জন্য নারীদের বাড়ি থেকে দূরে যেতে হতো। এখন নতুন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম হওয়ার পর সহজেই লবণমুক্ত বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে।