যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও (১৯) নিহতের ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিওর বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রতীয়মান হয়েছে, পুলিশের গুলি করার প্রয়োজন ছিল না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং এর তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে পুলিশের ‘ওভার-রিএকশন’ বা দোষ প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি।
এর আগে ২৭ মার্চ বিকেলে কুইন্সের নিজেদের বাসায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন উইন রোজারিও।
নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, উইন রোজারিও কাঁচি দিয়ে পুলিশ অফিসারদের দিয়ে তেড়ে যান। এরপর একপর্যায়ে পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, কিন্তু নিহত তরুণের ভাই গুলি চালানোর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং তিনি ঘটনার পুলিশি বিবরণের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, তার মা ছেলেকে আটকাচ্ছিলেন এবং তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পুলিশ অফিসারদের তাদের বন্দুক থেকে গুলি করার দরকার ছিল না।
পুলিশ কর্মকর্তা জন চেল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই তরুণের ব্যাপারে ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে দুই পুলিশ সদস্য ওই বাসায় যান। সেখানে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খলা ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। পুলিশের ধারণা, রোজারিও নিজেই ওই নম্বরে কল করেছিলেন।
জন চেল বলেন, বাসায় গিয়ে পুলিশ সদস্যরা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি একটি ড্রয়ার থেকে জোড়া কাঁচি বের করে পুলিশের দিকে আসেন। তখন দুই পুলিশ সদস্যই গুলি ছুড়ে তাকে বশে আনেন।
তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। নিহত ওই তরুণ মানসিক রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।