বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। বিভিন্ন জলায় রাস্তাঘাট-বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ভেসে গেছে চাষের মাছ, গবাদি পশু। দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট। অসহনীয় দুর্ভগে পড়েছে মানুষ।
এসব দুর্গত মানুষের জন্য প্রশাসনিক, সাংগঠনিক এবং ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ সহায়তা পাওয়া গেলেও পানি নেমে যাওয়ার পর একের পর এক সম্পদের ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠছে।
পানি নেমে যাওয়ায় মিরসরাইয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি ও রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা ফুটে উঠছে। একচালা টিনের ঘর, মাটির ঘর, সেমিপাকা ঘর, কালভার্ট, গ্রামীণ সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি জমে থাকায় গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে বিভিন্ন গ্রামে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, এ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় বন্যার পানি এখন আর নেই। পানি সরে যাওয়ায় পর অবকাঠামোগত বিভিন্ন ক্ষতচিহ্ন এখন চোখে পড়ছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন এর সাধারণ মানুষের মাটির ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে গত মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় বন্যা শুরু হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার কালন্দি খাল, জার্জি খাল ও হাওড়া নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বর্তমানে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি সরে যাওয়ায় ভেসে উঠছে ক্ষতের চিহ্ন। বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে এখনও বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।