হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
তিনি জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়।
২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর কারামুক্ত হলেন তিনি।
২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক কয়েকটি দল বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়। ওই সময় ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে সহিংস ঘটনায় আলোচিত ছিলেন মামুনুল হক।
ওই ঘটনার পর পুরান ঢাকার একটি এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে নতুন করে বিতর্কে জড়ান মামুনুল হক। তুমুল বিতর্কের মধ্যে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক রিসোর্টে এক নারী সঙ্গীকে নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি।
সঙ্গে থাকা নারী সঙ্গীকে নিজের স্ত্রী দাবি করেন মামুনুল হক। এরপর তার অনুসারীরা হামলা করে মামুনুলকে সেখান থেকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। এর ১৫ দিন পর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।