আগামী ১৭ জুন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। এ হিসেবে ঈদের বাকি আর মাত্র সাতদিন। এদিকে এরইমধ্যে ঢাকায় ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা চূড়ান্ত করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু নিয়ে এসব হাটে আসতে শুরু করেছেন খামারিরা। তবে এখনো হাটগুলোতে বেচাকেনা জমে ওঠেনি।
রোববার (৯ জুন) ঢাকার স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সাধারণত ঈদের দু-তিনদিন আগে থেকে ঢাকায় পশু বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হয়। এখন যারা হাটে আসছেন তাদের বেশিরভাগই ঘুরে পশু দেখছেন। কেউ কেউ দরদামও করছেন।
সরেজমিনে ৯ জুন দেখা যায়, দনিয়া কলেজের সামনে তথা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে ফাঁকা জায়গায় বাঁশ পুতে, ছামিয়ানা টানিয়ে শত শত গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। হাটের সীমানা যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার থেকে প্রায় শনিরআখড়া পর্যন্ত চলে গেছে। হাটে ট্রাক ও পিকআপে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা। তবে হাট এখনো জমে উঠেনি। অনেককে দরদাম করতে দেখা গেছে। ধোলাইখাল, রহমতগঞ্জে পশুর হাটেও দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র।
দনিয়া কলেজ হাটে ৭ জুন আটটি গরু নিয়ে আসেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, হাটে বেচাকেনা শুরু না হলেও অনেকেই দরদাম জানতে চাইছেন। কেউ কেউ মোবাইল ফোনে পশুর ছবি তুলছেন। ঈদের দু-একদিন আগে মূলত বেচাকেনা হয়।
নারিন্দার বাসা থেকে ধোলাইখাল হাটে গরু দেখতে যান মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, প্রতি বছরই ঈদের আগের দিন রাতে কোরবানির পশু কিনি। এবারও ঈদের আগের দিনই কিনবো। তবে এখন গরুর বাজারদর কেমন তা জানতেই হাটে আসছি।