জলি আহমেদ…
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। শনিবার (২০ এপ্রিল) জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে দুদিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
উৎসব উদ্বোধন করেছেন ঢাকাই সিনেমার নায়ক, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
জমকালো এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোশকতা করেছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি মালিকানাধীন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আশা হোম কেয়ার। এছাড়া আরও রয়েছে গোল্ডেন এইজ হোম কেয়ার।
সুচিত্র সেন মেমোরিয়াল ইউএসএ’ আয়োজিত উৎসবে ৩৯টি ফিচারফিল্ম, ডক্যুফিল্ম এবং শর্ট ফিল্ম দেখান হচ্ছে। মুভি প্রদর্শনী ছড়াও রয়েছে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এছাড়া নাচ-গান ও ফ্যাশন শো তো আছেই। আর সবশেষ আওয়ার্ড অনুষ্ঠান।
উৎসবে অংশ নিয়েছেন ঢাকাই ও কলকাতার জনপ্রিয় তারকা, পরিচালক, সংগীতশিল্পী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ অনেকে।
এর মধ্যে আছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, চিত্রনায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তমা মির্জা, অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী সোহানা সাবা এবং সংগীতশিল্পী ও সাংবাদিক তানভীর তারেকসহ আরও অনেকে।
উৎসবে ঢাকা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চলচ্চিত্র নির্মাতা অভিনেত্রী হৃদি হক, অভিনেত্রী বন্যা মির্জা ও সোহানা সাবা অংশ নেন।
ছিলেন একুশে পদক পাওয়া সাহিত্যিক নাজমুন নেসা পিয়ারি এবং কলকাতার কয়েকজন অভিনয় শিল্পী।
চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, ধন্যবাদ জানাই মহানায়িকা সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজকদের আমাকে এমন একটি আয়োজনে নিমন্ত্রণ জানানোর জন্য। ভীষণ ভালো লাগার বিষয় হলো এ উৎসবে আমার অভিনীত দুটি সিনেমা প্রদর্শিত হবে। আসলে এমন উৎসব আন্তর্জাতিকভাবে বাংলা সিনেমাকে পরিচিত করার সুযোগ করে দেয়।
আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আকাশ রহমান বলেন, মানুষ বাংলা সংস্কৃতিকে পছন্দ করে। আমেরিকার মতো জায়গায় এমন একটি আয়োজন এটাই তার প্রমাণ। আমরা চাই সবাই বাংলা সংস্কৃতিকে ধারণ করুক। আমাদের এই আওয়ার্ডের জন্য প্রায় সাড়ে চারশ মুভি জমা পড়েছিল। কিন্তু আমাদের ৪০টি মুভি পরিদর্শনের সক্ষমতা ছিল। সামনে আরো বড় পরিসরে এমন আয়োজন করা হবে।
উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে- ১৯৭১ সেইসব দিন, হাওয়া, মেঘের কপাট, ওরা সাতজন, তৃতীয় রিপু, প্যাসেঞ্জার সহ আরো অনেক সিনেমা।
অনুষ্ঠানের প্রতিটি আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। কোনো প্রবেশ ফি বা টিকেট নেই।