ফাহিম সালেহ (৩৩) একজন বাংলাদেশি তরুণ মিলিয়নিয়ার। চার বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে খুন হন তিনি। কিন্তু কেন তাকে হত্যা করা হয়েছিল?
এ বিষয়ে আইনজীবীর বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হ্যাসপিল কয়েক হাজার ডলার চুরি করেছিলেন। ধরা পড়ার ভয়ে তিনি মানসিকভাবে অস্থির ছিলেন। আবার ধরা পড়ে গেলে তার ফরাসি বান্ধবী মেরিন শ্যাভেজ ছেড়ে যেতে পারেন সেই ভয়ও করছিলেন।
বিবাদীর আইনজীবী স্যাম রবার্টস ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বলেন, এই পরিস্থিতিতে পড়েই ফাহিম সালেহর অ্যাপার্টমেন্টে যান হ্যাসপিল । সেখানে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। লোয়ার ইস্ট সাইড অবস্থিত ফাহিমের ওই বাড়ির দাম ২৪ লাখ ডলার।

ফাহিম সালেহ ছিলেন ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ গোকাডার সিইও। তার করপোরেট অ্যাকাউন্ট থেকে ৯০ হাজার ডলার অদৃশ্য হওয়ার পর ২০২০ সালের জানুয়ারি হ্যাসপিলকে সন্দেহ করতে শুরু করেন ফাহিম।
শেষ পর্যন্ত হ্যাসপিলের কাছেই টাকাটির সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু সালেহ একজন অভিভাবক হিসেবে সরাসরি হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি, বরং তিনি তাকে টাকাটি ফেরত দেওয়ার সময় দিয়েছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় কৌঁসুলিরা বলেছেন, হ্যাসপিল মুখোশ পরে সালেহর বাড়িতে যান। এরপর টেসার দিয়ে তাকে অচেতন করে ছুরিকাঘাত করেন। পরদিন মৃতদেহটি টুকরো টুকরো করেন এবং মাথা বিচ্ছিন্ন করেন।
হত্যার পর হ্যাসপিল ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ঘর পরিষ্কার করেন। তবে একটি ‘অ্যান্টি-ফেলন ডিস্ক’ সেখানে রয়ে যায়। পরে যা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডিস্কটিতে থাকা নম্বরটি টেসারের সঙ্গে মিলে যায়। হত্যাকাণ্ডের এক মাস আগে তার ব্রুকলিনের ঠিকানা থেকে তিনি সেটি অর্ডার করেছিলেন।
নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, হ্যাসপিল দোষী সাব্যস্ত হলে কমপক্ষে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।