মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত জবেদ আলী মীরের ছেলে সৈয়দ আবেদ আলী জীবন সরকারি গাড়িচালক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। চাকরি জীবনের প্রথম পর্যায়ে কষ্টে দিন কাটলেও সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িয়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যান তিনি।

সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবেদ আলীর গ্রামের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে তাঁর কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। ডাসার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আলোচনাতেও আসেন তিনি। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্লাটসহ রয়েছে একাধিক ভবন, সরকারি জমি দখল করে তৈরি করেছেন গরুর খামার। কুয়াকাটায় তৈরি করেছেন হোটেল সান মরিনা নামে একটি বিলাসবহুল হোটেল। তার ছেলেও চড়েন কোটি টাকার গাড়িতে। পরিবারের সদস্যরা ব্যবহার করেন একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। নামে বে-নামে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার জমি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসসহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির দালালী করে এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত জবেদ আলী মীরের ছেলে সৈয়দ আবেদ আলী জীবন সরকারি গাড়িচালক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। চাকরি জীবনের প্রথম পর্যায়ে কষ্টে দিন কাটলেও সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িয়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যান তিনি।
সরকারি দপ্তরের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন আলোচনায় আসেন বিপিএসসি’র প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য হিসেবে। এরপর কয়েক বছর গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকলেও ডাসার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ফের আলোচনায় আসেন তিনি। ডাসার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় মানুষদের মন জয় করতে অর্থ দান শুরু করেন। নিজের ও তার ছেলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে প্রমাণ করতেন নিজেকে।
সম্প্রতি সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গরুর ফার্ম তৈরি করেন আবেদ আলী। যদিও সড়ক বিভাগ সে স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ অমান্য করেন এবং স্থাপনাটি অপসারণ করেননি।