২০২৩ সালে প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ভ্রমণ, কাজ ও স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাজ্য এসে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আশ্রয়ের আবেদন করেন। এসব আবেদনের ৯৫ শতাংশ খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের এখন নতুন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে এমন ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য হোম অফিস। বলা যায়, অ্যাসাইলাম আবেদনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বড় রকমের দুঃসংবাদ এটি।
ফাস্ট ট্র্যাক (দ্রুত) রিটার্ন চুক্তির আওতায় তাদের ফেরত পাঠানো হবে। এ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে লন্ডনে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিটি হয়। অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার জন্য শক্ত প্রমাণ রয়েছে— এমন ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎকার ছাড়াই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করবে চুক্তিটি।
হোম অফিস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ১১ হাজার বাংলাদেশির তালিকা করেছে হোম অফিস। যারা বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন। এরমধ্যে রয়েছেন এমন শিক্ষার্থী, যারা এসেই পড়াশোনা চলমান না রেখে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অ্যাসাইলাম আবেদন করেন। এছাড়া ওয়ার্কার বা ভিজিটররাও অ্যাসাইলাম আবেদন করেছেন, কিন্তু তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
হোম অফিসে সূত্রমতে, আশ্রয় দাবিদারদের মধ্যে পাকিস্তান বৃহত্তম দেশ, প্রায় ১৭,৪০০টি মামলা রয়েছে, এরপরে বাংলাদেশ ১১,০০০, ভারত ৭,৪০০, নাইজেরিয়া ৬,৬০০ এবং আফগানিস্তান ৬,০০০। এদের সবাইকে চুক্তি অনুযায়ী ফাস্ট ট্র্যাকে স্ব স্ব দেশে পাঠানো হবে।
যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বলেছেন, অবৈধভাবে লোকজনের এখানে আসা ও থাকা ঠেকাতে তাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দ্রুত অপসারণ করা। যুক্তরাজ্যের একটি মূল্যবান অংশীদার বাংলাদেশ। এটা একটা চমৎকার ব্যাপার যে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাড়া দিয়েছে।