কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেটের সাকিব আল হাসান। আর এই দল গঠনে নেপথ্যের কারিগর হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম কাজ করেছিলেন। বিএনএমে যোগ দিতে হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়। এমনকি হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গে সাকিবের একটি ছবিও প্রকাশ হয়। ফলে সাকিব ইস্যুতে নতুন করে আবার রাজনীতির মাঠে ওঠে আলোচনার ঝড়।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন।
এসময় তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের আগে নতুন দল গঠনের প্রস্তাব পেয়ে তা ফিরিয়ে দেন।
আর সাকিবের বিষয়ে বলেন, ক্রিকেটার সাকিবকে তার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তিনি সাকিবকে নতুন দলে যোগদানের বিষয়ে উৎসাহ দেননি।
সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন পরিচিত কর্মকর্তা নতুন দল গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন হাফিজ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘তখন তাদের বলেছিলাম, আমার পক্ষে ৩২ বছর পর দল ত্যাগ করা সম্ভব নয়। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। শিগগির রাজনীতি থেকে অবসর নেবো। রাজনীতিতে কোনো শর্টকাট নেই।’
সাকিব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাই সাকিব আল হাসানকে তার কাছে নিয়ে যান। সাকিব রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তখন আমি তাকে বলেছি, রাজনীতি করা তোমার বিষয়। তুমি এখনো খেলাধুলা করছ, রাজনীতি করবে কি না বিবেচনা করে দেখ। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বিষয়টি মিডিয়ায় দেখেছি। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না। এখন সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করেছে, জয়লাভও করেছে। নমিনেশন পার্টির কাছে যাওয়ার সময় সে দলের প্রাথমিক সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের দলের কেউ ছিল না। নমিনেশন দেওয়ার সময় প্রাথমিক সদস্য পদ দিতে হয়। এর আগের বিষয়টা জানি না।