বাংলাদেশে নগরায়ণ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম কিংবা বিভাগীয় শহরগুলোর দিগন্তজুড়ে গড়ে উঠছে হাইরাইজ বিল্ডিং, শপিং মল এবং জটিল অবকাঠামো। এই নির্মাণযজ্ঞের পেছনে রয়েছে মানুষের বাসযোগ্যতা, ব্যবসার সম্প্রসারণ এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির বাস্তব প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার তাগিদ। তবে প্রশ্ন হলো এই অবকাঠামোগুলো কতটা টেকসই? কতটা নিরাপদ?
একটি ভবনের কাঠামোগত সক্ষমতা শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং নকশা বা কন্সট্রাকশনের গুণে দাঁড়িয়ে থাকে না। এর জন্য প্রয়োজন যথাযথ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নির্মাণ উপকরণ, যার মধ্যে রড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এ কারণে বর্তমানে আন্তর্জাতিক নির্মাণ প্র্যাকটিসগুলোতে সঠিক মাত্রার yield strength (শক্তি), ductility (নমনীয়তা) ও elongation (প্রসারণক্ষমতা) সম্পন্ন উচ্চশক্তির রড ব্যবহারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধরা হচ্ছে।
বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে এবং আন্তর্জাতিক কোড অনুসারে যেমন—ACI 318-19, Eurocode-2, Eurocode-8, BCA Singapore, Korean Building Code, Japanese Building Code—কাঠামোগতভাবে প্রয়োজনীয় স্ট্রেংথ অর্জনের জন্য ৬০০ গ্রেড রিবার-এর ব্যবহার একটি স্বীকৃত চর্চা। এই রডের yield strength প্রায় 600 MPa, যা প্রচলিত ৪০০ বা ৫০০ গ্রেডের চেয়ে প্রায় ২০-৩০% বেশি শক্তিশালী। ফলে একই শক্তির কাঠামো নির্মাণে কম পরিমাণ রড ব্যবহার করেই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। এতে প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় হ্রাস পায়, উপকরণ ও পরিবহন খরচ কমে এবং নির্মাণ হয় আরও সাশ্রয়ী।
রডের কার্যকারিতা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছানোর জন্য উপযুক্ত কংক্রিটের সঙ্গে ব্যবহৃত হতে হয়। ACI 318-19 ও যেকোনো স্বীকৃত কোড ৬০০ গ্রেড রডের সঙ্গে ৩০০০ PSI বা তার বেশি compressive strength-সম্পন্ন কংক্রিট ব্যবহার করার কথা বলে। আবার ৪০০০–৬০০০ PSI কংক্রিটের সঙ্গে ব্যবহারে এই রড বিশেষায়িত অবকাঠামো ও হাইরাইজ ভবনের জন্যও উপযোগী হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংমিশ্রণ শুধুই নির্মাণের গুণগত মান বাড়ায় না, এটি ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করে একটি নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী অবকাঠামো।
একটি প্রকল্পে উচ্চশক্তির রড ব্যবহারে খরচ কমে আসে বহুস্তরে
• কম রড প্রয়োজন হয়, ফলে রডের মোট পরিমাণ হ্রাস পায়
• পরিবহন খরচ কমে, কারণ ওজন কম
• ফিক্সিং ও ঢালাই সহজ হয়, ফলে সময়সাশ্রয়ী
• লেবার ব্যয় কমে, কার্যক্রম হয় দ্রুত
এই সাশ্রয় প্রকল্প বাস্তবায়নের সামগ্রিক খরচ কমিয়ে আনে, যা বিশেষ করে সরকারি ও বড় বাণিজ্যিক প্রকল্পে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্প-সংবেদনশীল দেশ। ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। এই বাস্তবতায় কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুধু বিল্ডিং কোড মানলেই হবে না—উপকরণের মানেও আনতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড। ৬০০ গ্রেড রিবারের উচ্চ yield strength, নমনীয়তা এবং দীর্ঘস্থায়ী চাপ সহ্য করার সক্ষমতা যদি সঠিকভাবে ডিজাইনে আমলে নেওয়া হয়, তবে ভূমিকম্পের সময় কাঠামোকে সর্বোচ্চ পরিমাণ সুরক্ষা দিতে পারে। এই রড বাঁকতে সক্ষম, তাই সহজে ভাঙে না। ফলে কাঠামো ধসে পড়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে থাকে।
উন্নত বিশ্ব—যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান, জার্মানি, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশ দীর্ঘদিন ধরেই ভূমিকম্পপ্রতিরোধী নির্মাণের ক্ষেত্রে উচ্চ গ্রেডের রড ও উন্নত মানের কংক্রিট ব্যবহার করছে। এই দেশগুলোতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের পরও আমরা দেখি, তাদের শহরগুলোতে কাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি সীমিত থাকে। এর অন্যতম কারণ হলো তারা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী নির্মাণসামগ্রী নির্বাচন করে এবং সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে।
উচ্চশক্তির রড ব্যবহার মানে কম রডে বেশি কাজ। এতে স্টিল উৎপাদনের চাপ কমে এবং প্রতি টনের কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পায়। বিশ্বব্যাপী ইস্পাতশিল্পের কারণে কার্বন নিঃসরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি ১ টন স্টিল উৎপাদনে ১.৮-২.০ টন CO2 নিঃসরণ হয়। যদি রডের প্রয়োজন ২০% কমে যায়, তার মানে উৎপাদন থেকে পরিবহন—সবকিছুর ওপর চাপ কমে। বাংলাদেশে স্টিলশিল্পের কাঁচামালের বড় অংশ আমদানিনির্ভর। রডের ব্যবহার কমানো মানে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, যা সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশেও সময় এসেছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রিবার ও কংক্রিট ব্যবহারকে নির্মাণশিল্পের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার। আমাদের দেশে নগরায়ণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে হাইরাইজ বিল্ডিং, শপিং মল ও বিভিন্ন অবকাঠামো। এসব স্থাপনাকে নিরাপদ, টেকসই ও অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী রাখতে হলে নির্মাণের প্রতিটি ধাপে—বিশেষ করে রড ও কংক্রিটের মান বাছাইয়ে বৈজ্ঞানিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
রিবার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কেবল মূল্য নয়, বরং এর প্রকৃত গুণগত বৈশিষ্ট্য—যেমন yield strength, ductility, elongation এবং উৎপাদন প্রযুক্তির মান—বিবেচনায় নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নির্মাণের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব বৈশিষ্ট্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমরা যদি একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পে ৬০০ গ্রেডের উচ্চ মানসম্পন্ন রিবার এবং কমপক্ষে ৩০০০ PSI compressive strength-এর কংক্রিট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। কারণ, শুধু স্ট্রাকচার দাঁড় করানোই যথেষ্ট নয়—আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন ভবন নির্মাণ করা, যা মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে সংকটময় মুহূর্তে, বিশেষ করে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে।
আমাদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা। এখনই সময় সচেতন হওয়ার, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর এবং একটি টেকসই, সাশ্রয়ী ও ভূমিকম্পপ্রতিরোধী বাংলাদেশ গড়ে তোলার।
নির্মাণ একটি দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়িত্বনির্ভর বিনিয়োগ। এটি শুধু একটি বিল্ডিং বা অবকাঠামো নির্মাণের বিষয় নয়, এটি একটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসযোগ্যতা, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নির্ভরযোগ্য ভিত্তি স্থাপন। তাই নির্মাণ প্রকল্পে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত গভীর ও দূরদর্শী। আজকে গড়ে তোলা একটি ভবন আগামী কয়েক দশক ধরে মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলবে। সুতরাং প্রতিটি উপকরণকে হতে হবে উচ্চমানসম্পন্ন ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের উপযোগী।
এই বাস্তবতা সামনে রেখেই আধুনিক বিশ্ব নির্মাণ খাতে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত উপকরণ ব্যবহারের দিকে এগিয়ে গেছে। এরই একটি সর্বাধুনিক উদ্ভাবন হলো Quantum Electric Arc Furnace (QEAF) প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি বর্তমানে বিশ্বমানের ইস্পাত উৎপাদনের ক্ষেত্রে কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
QEAF প্রযুক্তি একটি সর্বাধুনিক পদ্ধতি, যা স্ক্র্যাপকে পরিশোধনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ ইস্পাতে রূপান্তর করে। এখানে একাধিক ধাপে চলে ইস্পাতের বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় স্ক্র্যাপের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত কার্বন, সালফার, ফসফরাসসহ অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদানগুলো দূর করে দেওয়া হয়। ফলে খুব ভালো মানের ইস্পাত পাওয়া যায়।
আরেকটি বড় সুবিধা হলো QEAF প্রযুক্তিতে র্যান্ডম কেমিক্যাল কম্পোজিশনের সম্ভাবনা থাকে না। সাধারণত প্রচলিত ইস্পাত উৎপাদনে উপাদানগুলোর মধ্যে পার্থক্য থেকে যায়, যা কাঠামোর একেক অংশে আলাদা পারফরম্যান্স তৈরি করে এবং দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু QEAF-এ প্রতিটি ধাপে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি থাকায় এই পার্থক্য থাকে না। পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত থাকে অত্যন্ত নিখুঁত ও পরিমিতভাবে।
বিশুদ্ধ ইস্পাত ব্যবহারের আরেকটি বড় সুফল হচ্ছে—দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব। যখন ব্যবহৃত ইস্পাতে অপদ্রব্য যেমন সালফার ও ফসফরাসের মাত্রা অনেক কম থাকে, সেই কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে টিকে থাকে এবং কাঠামোর ভেতরের সংযোগস্থলগুলো দুর্বল করে না। ফলে ভবন বা অবকাঠামোটি নিরাপদ থাকে।
বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি, অতিবৃষ্টিজনিত ক্ষয় ইত্যাদির কারণে টেকসই নির্মাণ এখন শুধু বিকল্প নয়, একটি বাস্তবতা। শহরাঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনত্ব বাড়ছে, পুরোনো ভবনগুলো ভেঙে ভবিষ্যতের কথা ভেবে নতুন স্থাপনা তৈরি করছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের নির্মাণ উপাদান হতে হবে উন্নত মানের, যা পরীক্ষিত প্রযুক্তিতে তৈরি। যেমন QEAF প্রযুক্তিতে কার্বন নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে, ফলে এটি পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেমন জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই নির্মাণে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর ইস্পাত ব্যবহারে অগ্রসর হয়েছে। তারা QEAF বা সমমানের প্রযুক্তিকে বাধ্যতামূলক করে তুলেছে তাদের উৎপাদন মানদণ্ড।
নির্মাণ খাতে ইস্পাতের গুণগত মান নির্ধারণে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নির্মাণ কোড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন, ACI (American Concrete Institute) কোড অনুযায়ী RCC (Reinforced Cement Concrete) কাঠামোতে ১০০০০০ PSI পর্যন্ত ইল্ড স্ট্রেংথের রিবার ব্যবহার করা যায়, যা উচ্চশক্তির ইস্পাত ব্যবহারে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের নিজস্ব নির্মাণ কোড BNBC (Bangladesh National Building Code) অনুসারে, Confinement steel বা কংক্রিটের আবদ্ধকরণে ব্যবহৃত রিবারের ক্ষেত্রে ৭০০ গ্রেড পর্যন্ত অনুমোদন রয়েছে। এই দুটি নির্দেশনা আমাদেরকে শক্তিশালী, নিরাপদ এবং টেকসই কাঠামো নির্মাণে উচ্চ গ্রেডের রিবার ব্যবহারের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ও প্রকৌশলগত গ্রহণযোগ্যতা প্রদান করে।
বাংলাদেশে ভূমিকম্প ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে নিম্নমানের রড বা ইস্পাত ব্যবহারের ঝুঁকি আমাদের আর নেওয়া ঠিক হবে না। সময় এসেছে QEAF প্রযুক্তিতে উৎপাদিত বিশুদ্ধ ও উচ্চমানের ইস্পাতের ব্যবহারকে আমাদের নির্মাণশিল্পের মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার।
ভালো উপকরণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেক নির্মাতা, প্রকৌশলী, স্থপতি এবং বিল্ডিং মালিকদের সচেতন হতে হবে। কারণ, একটি দুর্বল উপাদান ভবনের সৌন্দর্য ঢাকা পড়ার আগেই তার বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবার একটি সঠিক সিদ্ধান্ত একটি কাঠামোকে শক্ত ভিত এবং শত বছরের স্থায়িত্ব উপহার দিতে পারে।
‘সাশ্রয়ী নির্মাণ’ মানে শুধু কম খরচে নির্মাণ নয়, বরং শক্তি ও স্থায়িত্ব অক্ষুণ্ন রেখে কাঠামো নির্মাণ করা, যেখানে নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং প্রযুক্তির সমন্বয় থাকে। কারণ, তুলনামূলক কম খরচে উচ্চমানের হাই ইল্ড স্ট্রেংথসম্পন্ন রিবার পাওয়া যায়। QEAF প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত ইস্পাত সেই সাশ্রয়ী নির্মাণের অন্যতম ভিত্তি হতে পারে।
আমাদের উচিত, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বকে মাথায় রেখে এমন ইস্পাত ব্যবহার করা, যা উৎপাদিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে। আর সেই ভবিষ্যতের জন্য আজই আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।