সুন্দরবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। এরই মধ্যে আগুনে পুড়ে গেছে কয়েক কিলোমিটার বনাঞ্চল।
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেননি তারা।
রোববার (৫ মে) সকাল থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ও গুলিশাখালীর মাঝামাঝি এলাকায় এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনাঞ্চলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান তারা। পরে বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে বালতি ও কলসি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, তাদের ধারণা, আগুন অন্তত দুদিন আগে লেগেছে। ওই এলাকায় বাঘসহ বন্য প্রাণীর উপস্থিতি অনেক বেশি। তাই মানুষের প্রবেশ কম।
বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে কীভাবে আগুন লেগেছে তা সঠিকভাবে বলতে পারেনি বন বিভাগ।
বনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনের কারণে বানর ও বনমোরগ ছোটাছুটি ও চিৎকার করছিল।
আগুন লাগা এলাকায় মূলত বলা, সুন্দরী, বাইন, গেওয়া, জিন, সিংড়াসহ বিভিন্ন ধরনের লতাগুল্মজাতীয় গাছ বেশি।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম জানিয়েছেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির উৎস খোঁজা হয়। কিন্তু কাছাকাছি কোনো পানি পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, অনেকটা দূরে ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসে। ফলে আগুনের কাছে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। অল্প অল্প করে জ্বলছে। রাতের মধ্যে খুব বেশি ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিকেলে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি।