জলি আহমেদঃ নিউইয়র্কের সবচেয়ে জমজমাট উৎসব গুলোর মধ্যে অন্যতম হ্যালোইন৷ এবার নানা আয়োজনে রঙবেরঙের ভূতুড়ে পোশাকে সজ্জিত হয়ে ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে আমেরিকার জনপ্রিয় এই উৎসব। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে প্রাইভেট হাউজ কিংবা প্রতিটি বাসার সামনেও দেখা গেছে কৃত্রিম ভূতের অবয়ব আর আলোকসজ্জা। তেমনি রোটারি ক্লাব অব হোপে মেতে উঠে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাঙালিরাও।
প্রতিবছর নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলা কমিউনিটিতে এই উৎসবকে ঘিরে দেখা যায় নানা আয়োজন। মিলিত হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এবার রোটারি ক্লাব অব হোপে উৎসবটিকে কেন্দ্র করে সকলে মেতে উঠে নাচ, গান কিংবা হরর গল্পে। সবার পোশাকে দেখা যায় ভিন্নতা, মুখে মাস্ক যেন সত্যিকার অর্থেই এক টুকরো ভূতুরে পরিবেশে পরিনত করেছে আয়োজনকে।
আয়োজনের শুরুতেই অতিথিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় রাতের খাবার আর ডেজার্টের। এরপরে সকলের সাথে পরিচিয় পর্ব শেষে ভূতুড়ে পোশাকে চলে একে অন্যের সাথে ছবি তোলার আয়োজন। তবে রাত ৯ টার পর থেকেই আলোকসজ্জায় সবাই মেতে উঠে নাচে-গানে।
ক্লাবের সদস্যরা ছাড়াও হ্যালোইন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বাঙালি কমিউনিটির আমন্ত্রিত অতিথিরা। হোপ রোটারি নিউইয়র্ক ক্লাবের চার্টার প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান রওনক আহমেদ এবং ক্লাবের বর্তমান সভাপতি রোটারিয়ান কাজী আহমেদ এর আন্তরিকতায় পুরো আয়োজনটি আরও প্রানবন্ত হয়ে উঠে!
শান্তনু সাজ্জাদের আয়োজনে রোটারি ক্লাব অব হোপের এই উৎসবে সঞ্চালনা করেছেন রুবাইয়া রহমান। উপস্থিত ছিলেন বাঙালি কমিউনিটির পরিচিত মুখরা!
সার্বজনীন উৎসব হিসেবে হ্যালোইন উৎসব সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে এরই মধ্যে। দিন দিন এর বিস্তৃতি বাড়ছে। এই উৎসবকে ঘিরে সারা বিশ্বজুড়ে এই যে মাতামাতি তার মধ্যে বাণিজ্য যেমন রয়েছে, তারই মধ্যে শিশু-কিশোরদের নিষ্পাপ আমোদও রয়েছে। মূলত ১৭৪৫ খ্রিষ্টাব্দের খ্রিস্টিয় ধর্ম থেকে ‘হ্যালোইন’ বা ‘হ্যালোউইন’ শব্দটির উৎপত্তি যার অর্থ ‘পবিত্র সন্ধ্যা’। শব্দটি স্কটিশ ভাষার শব্দ ‘অল হ্যালোজ ইভ’ থেকে এসেছ। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে ‘হ্যালোজ ইভ’ শব্দটি এক সময় ‘হ্যালোইন’-এ রূপান্তরিত হয়।