বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ বাংলাদেশ উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ভেতরে ঢুকেছে পানি। এছাড়া পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরায় দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
এদিকে বাগেরহাট, মোংলা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জে ঝোড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আতঙ্কে নদীতীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই বাগেরহাটের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপাল উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় সারা দিনই বিদ্যুৎ ছিল না। অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ ছিল আসা–যাওয়ার মাঝে।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রা উপজেলায় হড্ডা গ্রামের কয়রা নদীতে ভেসে এসেছে একটি হরিণ শাবক। পরে বনরক্ষীরা হরিণ শাবকটিকে নিয়ে বনের মধ্যে টহল ফাঁড়ির পুকুরের উঁচু পাড়ে ছেড়ে আসেন।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে ভোলায় সাত উপজেলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৭ হাজার ৩২২ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে এরই মধ্যে জোয়ারের পানিতে ভোলার চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন ঢালচর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী উত্তল রয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, সব উপকূল এলাকায় বর্তমানে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকাগুলো ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। এই মুহূর্তে উপকূলীয় এলাকার মানুষজন বিপদের মধ্যে আছেন। লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।