জলি আহমেদ…
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসর বার্ষিক বনভোজন হয়েছে। ১৪ জুলাই হেমিস্টান্ট লেক স্ট্রিট পার্কে এই বনভোজন হয়। এতে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেণীপেশার মানুষ এই আয়োজন উপভোগ করেন। বনভোজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন ছিল। এছাড়া ছিল র্যাফল ড্র। কোলাহল মুক্ত পরিবেশে আনন্দে মেতে উঠেন সবাই। রেফেল ড্রতে ছিল নগদ ডলার, গোল্ডের চেইন, আইফোনসহ আরো অনেক পুরস্কার।
এই বনভোজন যেন একধরনের পুনর্মিলনী। পরিচিত-অপরিচিতের ভিড়ে গড়ে ওঠে নতুন বন্ধন, তৈরি হয় গভীর সম্পর্ক। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলা উৎসবটি হয়ে ওঠে প্রবাসীদের এক মিলনমেলা। অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন ক্লোজআপ তারকা রন্টি দাস।
সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম (অপু) উপস্থিত অতিথিদের বলেন, এ ধরনের প্রাণবন্ত আয়োজন নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। তারা বাঙালির সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পায়। প্রবাসীদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন তৈরি করে। তাই এমন আয়োজন সব সময় হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রবাসীরা।
বনভোজনের আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন শামছুল আলম (শিপলু), আর সদস্য সচিব ছিলেন ইকবাল হোসেন ইকবাল হোসেন। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- ছিদ্দিক আহমদ, মাসুদুর রহমান, শরীফ আহমদ।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন- মুজিবুর রহমান রুহুল সহ-সভাপতি, রাজু আহমদ সহ-সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল হান্নান দুখু কোষাধক্ষ্য, মাহমুদুল কবির (রুবেল) সাংগঠনিক সম্পাদক, জামিল আহমদ (জাফরুল) ক্রীড়া সম্পাদক, ফয়েজ আহমদ সমাজকল্যাণ সম্পাদক, হাফছা ফেরদৌস হেলেন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, কার্যকরী সদস্য মাহবুব উদ্দিন আলম, মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, রেজওয়ান আহমদ ও ফরহাদ হোসাইন।
উপদেশটামন্ডলী হলেন- মোজাহিদুল ইসলাম, মো. ফখর উদ্দিন, গহর কিনু চৌধুরী, হারুন মিয়া, ফখরুর ইসলাম (বেলাল)। বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম (অপু)।
সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান বলেন, এমন একটি অসাধারণ আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমার সবসময়ই চাই প্রবাসীদের জন্য ভালো কিছু করতে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা আরও সুন্দরভাবে এই আয়োজন করতে চেষ্টা করব। যারা আমাদের এই আয়োজনের সঙ্গে ছিলেন এবং সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটি পিকনিক আয়োজন করতে পেরেছি। প্রবাসে আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বজায় রাখতে চাই। তাই আমাদের এমন একটি প্রয়াস। এই আয়োজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতিফলন।